পদ্মফুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি - পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাবেন

পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি জেনে তারপর আমাদের গাছ লাগাতে হবে। আমরা অনেকেই পদ্ম ফুল পছন্দ করি । কিন্তু পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায়? তা জানা নেই আমাদের অনেকেরেই এই বিষয়ে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই।

যদি আপনি আপনার বাসা বাড়িতে পদ্মফুল গাছ লাগাতে চান তাহলে পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি সম্পর্কে আগে জানতে হবে । লাগানোর পদ্ধতি জানার পাশাপাশি পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে জানুন।

পেজ সূচিপত্রঃ পদ্মফুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি - পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাবেন

পদ্মফুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি জানুন

পদ্মফুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি বেশিরভাগ মানুষই জানেনা। পদ্মফুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি - পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাবেন । ফুল হচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতীক। আমরা প্রত্যেকে ফুল পছন্দ করে থাকি সাধারণত অনেকের বাড়ির ছাদে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ দেখা যায়। কেউ শাপলা ফুল পছন্দ করে কেউ পদ্মফুল পছন্দ করে আবার কেউ সূর্যমুখী অথবা গোলাপ ফুল পছন্দ করে থাকে। আপনি যদি পদ্ম ফুল পছন্দ করে থাকেন তাহলে পদ্ম গাছ কিভাবে লাগাতে হয়? এ বিষয়ে আপনি ভালোভাবে জেনে নিন তাহলে তাড়াতাড়ি এবং ভালো ফলন পেতে পারেন ।পদ্ম গাছ লাগাতে হলে অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম লক্ষ্য রাখতে হবে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কোন পাত্রে গাছ লাগাবেন সেটি। অনেক সময় আমরা সঠিক পাত্র নির্বাচন করতে পারি না যার ফলে সঠিকভাবে পদ্ম গাছ বড় হয় না এবং তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যেহেতু পদ্ম ফুল বড় জায়গা নিয়ে ফুটে থাকে তাই এই বিষয়টি বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। আর বড় জায়গাতেই লাগাতে হয় ।

 প্রথমে  আপনাকে পদ্ম গাছের বীজ খুঁজে বের করতে হবে। সাধারণত পদ্ম গাছ সব থেকে বেশি খাল- বিলের দিকে ভালো জন্মায়। আপনার এলাকার আশেপাশে যদি খাল- বিল থাকে এবং বর্ষাকাল থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই পদ্ম গাছের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। অথবা আপনি যদি সরাসরি পদ্ম গাছের চারা লাগাতে চান তাহলেও লাগাতে পারবেন এবং ভালো ফলন পাবেন।

পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায়

পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায়?আমাদের মনে অনেকেরেই প্রশ্ন থাকে যে । পদ্মফুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি - পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাবেন।  আমরা যদি পদ্মফুল চাষ করতে চাই তাহলে অবশ্যই পদ্ম ফুলের বীজ প্রয়োজন হবে। যদি সরাসরি বীজ থেকে চারা তৈরি করতে চাই তাহলে আর যদি চারা সরাসরি লাগানো হয় তাহলে পদ্ম ফুলের বীজের তেমন কোন প্রয়োজন নেই। পদ্ম ফুলের বীজ সংগ্রহ করা খুবই সহজ।

আমাদের আশেপাশে নার্সারি থাকলে এটি আরো সহজ হয়ে যায়। আপনি আপনার বাড়ির আসে পাশের নার্সারি থেকে চারা নিয়ে রোপণ করতে পারেন । আমরা জানি যে ফুল সকলের পছন্দের একটি উদ্ভিদ। ফুল পছন্দ করে না এমন বাক্তি খুজে পাওয়া অসম্ভব। তাই  বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য আমরা ফুল লাগিয়ে থাকি । বিশেষ করে বাড়ির ছাদে এবং বাসার বারান্দা বা আগিনাই। যদি আপনার আশেপাশে কোন ধরনের নার্সারি থাকে তাহলে সেখানে গিয়ে আপনি খুব সহজেই পদ্ম ফুলের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন।

তাছাড়া বর্তমানে সকল ধরনের পণ্য অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়। আপনি যদি অনলাইনে পদ্ম ফুলের চারা কিনতে চান তাহলে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মাধ্যম রয়েছে যারা ভালো মানের পদ্ম ফুলের বীজ আপনাকে সংগ্রহ করে দেবে। তাদের কাছ থেকে নিতে পারেন তবে দেখে শুনে বাড়ির আশেপাশে যদি ফুলের নার্সারি থেকে নিতে পারেন তাহলে বেশি ভালো হয়।

পদ্ম বীজের ক্ষতিকর দিকগুলো কি

পদ্ম বীজের ক্ষতিকর দিকগুলো বেশিরভাগ মানুষের জানা নাই। যেহেতু আমরা পদ্মবীজ খাওয়ার ফলে কোন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনেছি তাই আমাদের পদ্ম বীজের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কেও ভালোভাবে ধারণা রাখতে হবে। পদ্ম বীজের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান সাধারণত এই উপাদান গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী।কোন জিনিস অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয় । সাধারণত সেই জিনিস যদি অনেক বেশি উপকারী হয় তাও খাওয়া ঠিক না । কারণ উপকারি কোন জিনিস যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে সেটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে । যেমন কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পদ্ম বীজ খেয়ে থাকে তাহলে তার হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। উপকারী খাবার গুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয়।

গর্ভবতী মা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পদ্মবীজ খেয়ে থাকে তাহলে তার দুধের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে বাচ্চারও ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে । কিন্তু যদি নিয়ম অনুযায়ী এবং পরিমাপ অনুযায়ী খায় তাহলে দুধ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। স্বাদ নষ্ট না হয়ে যায় এ বিষয়টির দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে পদ্ম বীজ খাওয়া উচিত নয়।

আরও পড়ুন ঃ খালি পেটে চিরতা খেলে কি হয়

খালি পেটে চিরতা খেলে কি হয় জানুন। আমরা শুধু চিরতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে  জানব । চিরতা খেতে তিতা হলেও এর উপকারিতা অনেক । আপনি কি জানেন চিরতা খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে অনেক অপকারিতা। এখন আমরা খালি পেটে চিরতা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। চিরতা তিতা প্রকৃতির হওয়ার কারণে এটি খাওয়ার ফলে অনেকের বমি বমি ভাব হতে পারে। বিশেষ করে যাদের পাকস্থলী সংবেদনশীল তাদের জন্য এটি সেবনের ফলে পেট ব্যথা ও সাথে সাথে বমি হয়ে যাতে পারে। আবার যাদের পাকস্থলী দুর্বল বা আগে থেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা যদি খালি পেটে চিরতা সেবন করেন তাহলে তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে জাওয়ার সম্ভবনা আছে। আবার আপনি যদি বেশি উপকারের আশায় বেশি করে চিরতা খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি কমে যেতে পারে। তাই আপনার শরীরে সহ্য করার ক্ষমতা অনুজায়ে চিরতা খাবেন

পদ্ম ফুলের বীজের দাম কেমন

পদ্মফুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা পদ্ম ফুলের বীজের দাম কত হতে পারে? সে বিষয়ে জানব। গ্রাম অঞ্চলে পদ্ম ফুলের বীজ এমনিতে পাওয়া যায় আবার যদি এর চাহিদা বেড়ে যায় তাহলে অনেক সময় বাজারে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে গ্রামের চাইতে শহরে পদ্ম ফুলের বীজের দাম বেশি। কারণ শহরে এটি তেমন ভাবে পাওয়া যায় না তাই। আপনাকে জানা লাগবে পদ্মফুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি - পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাবেন

যদি আপনি পদ্ম ফুলের বীজ খেতে চান অথবা চারা তৈরি করে গাছ উৎপাদন করতে চান তাহলে ,পদ্ম ফুলের বীজ কেনার আগে বর্তমান বাজারে বীজের দাম কত হতে পারে? সে সম্পর্কে একটা ধারণা থাকা ভালো । পদ্ম ফুলের বীজ অনেক বড় হয়ে থাকে সাধারণত চার থেকে পাঁচটি বীজের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। তবে সিজিন ছাড়া নিলে এর চাইতে বেশিও হতে পারে কিছু।

পদ্ম বীজের উপকারিতা কি

পদ্ম বীজের উপকারিতা অনেক। পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা পদ্ম বীজের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা অনেকেই পদ্ম ফুলের বীজ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে বা ভালবাসি। যারা গ্রামে বসবাস করে তারা সাধারণত এই খাবারটি বেশি পছন্দ করে এবং তারা পদ্ম ফুলের মৌসুমের সময় পদ্ম ফুলের বীজ বেশি খায় এমনকি বাজারে বিক্রি করতে দেখা যায়। যেহেতু আপনারা পদ্ম ফুলের বীজ খেয়ে থাকেন তাই অবশ্যই এর উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

পদ্ম বীজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাধারণত এই উপাদানটি আমাদের দেহ থেকে বজ্র পদার্থ গুলোকে নিষ্কাশন করতে করে  এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ।

যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে সাধারণত তারা যদি নিয়মিত পদ্মবিজ খেতে পারে তাহলে এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া  যাদের  কোষ্ঠকাঠিন্য  এই রোগটি আছে তাদের এই ফলটি খাওয়া উচিত । কারণ কোষ্ঠকাঠিন্য  রোগ কমাতে সাহায্য করবে।

দ্ম ফুলের বীজ  এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তাই দেহকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই প্রোটিন খেতে হবে।

যেহেতু পদ্ম বীজের মধ্যে প্রোটিন পাওয়া যায় সাধারণত এটি ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারি। অনেক সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

এছাড়া যাদের দেহের ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ওজন কমাতে পারছে না সাধারণত তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পদ্ম বীজ। এর মধ্যে থাকা উপাদান গুলো আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট দূর করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।

যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে সাধারণত তারা যদি নিয়মিত খেতে পারে তাহলে এটি তাদের জন্য এসিডিটি নিয়ন্ত্রণের কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এবং গ্যাসটিক জাতীয় ধরনের সমস্যা রয়েছে সবগুলো সমাধান করবে।

আরও পড়ুন ঃ গর্ভবতী নারীরা খালি পেটে চিরতা খেলে কি সমস্যা হয়

গর্ভবতী নারী ও শিশুর জন্য খালি পেটে চিরতা খাওয়া একদম উচিত নয়। কারণ যদি গর্ভবতী নারীরা খালি পেটে চিরতা সেবন করেন তাহলে এটি গর্ভে সংকোচন সৃষ্টি করতে পারে এবং গর্ভের সন্তান এর ক্ষতি হয়ার সম্ভবনা থাকে  যা গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। একইভাবে ছোট শিশুদের জন্যও এটি উপকারের চাইতে শরীরের ক্ষতি করতে পারে।ডায়াবেটিস রোগীরা যদি চিরতার পাশাপাশি ডায়াবেটিসের ওষুধও খান তবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে যেতে পারে। তাই যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ খান তাদের জন্য উচিত হবে চিরতা পরিমাণে কম খাওয়া বা না খাওয়া। এছাড়াও চিরতা যদি আপনি অনেক দীর্ঘদিন যাবত সেবন করতে থাকেন তাহলে আপনার  লিভার ও কিডনির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া ভালো না । পরিশেষে বলা যায় যে চিরতা যেমন শরীরের জন্য উপকারী ঠিক তেমন অপকারী। তাই আমাদের উচিত হবে সঠিক নিয়মে ও পরিমাণ মত চিরতা সেবন করা অথবা একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।

পদ্ম ফুলের বীজ থেকে চারা রোপণ

পদ্ম ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করতে পারলে আমরা সহজেই পদ্ম গাছ লাগাতে পারবো। পদ্ম ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করার পদ্ধতি খুবই সহজ। সাধারণত চারা তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম লক্ষ্য রাখতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো পদ্মবীজের দুইটি অংশ থাকে একটি সূচালো এবং অপরটি গোল অংশ। যে অংশটি সূচালো থাকে সাধারণত সেই অংশটি ঘষে একটু সমান করে নিতে হবে।

এরপরে একটা ছোট পাত্রের মধ্যে অল্প পরিমাণে পানি নিতে হবে এরপরে পদ্ম ফুলের বীজ গুলোকে পানিতে ডুবিয়ে দেখতে হবে যে সেগুলো ডুকছে কিনা? যদি পানিতে ডুবে যায় তাহলে মনে করতে হবে এই বীজ থেকে যে গাছ হবে সেটি ভালো মানের গাছ হবে। যদি বীজ না ডুবে এবং ওপরের দিকে ভেসে উঠে তাহলে মনে করবেন যে এই বীজ থেকে কখনোই ভালো মানের গাছ হবে না।

টবে পদ্ম গাছ লাগানোর নিয়ম জানুন

পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি সম্পর্কে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে যারা শহরে বসবাস করে সাধারণত তারা টবে পদ্ম ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকে ছাদে অথবা বেলকনিতে। পদ্মফুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি - পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাবেন তা জানতে হবে । যদি আপনি টবে পদ্ম ফুলের গাছ লাগাতে চান এবং ভালো ফলন পেতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। যেমন টব নির্বাচন করা, মাটি তৈরি করা ইত্যাদি।

কিভাবে আপনি পদ্ম ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করবেন এই বিষয় গুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি। উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই পদ্ম ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করতে পারবেন এছাড়া অন্য তেমন কোন পদ্ধতি নেই। তাছাড়া আপনি যদি সরাসরি চারা রোপন করতে চান তাহলেও পারবেন। তবে প্রথমে আপনাকে টবের আকৃতি নির্বাচন করতে হবে।

পদ্ম গাছের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়

পদ্ম গাছের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়? খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা যদি গাছের ভালো ফলন পেতে চাই তাহলে অবশ্যই কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে এই বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। কারণ গাছের যদি পরিচর্যা  না করা হয় তাহলে কখনোই ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব হবে না। আপনি যদি বাড়িতে পদ্ম ফুল চাষ করে থাকেন তাহলে টবে অনেক দিন ধরে পানি জমে না থাকে এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।

যদি আপনি পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে আপনার গাছকে বাঁচাতে চান তাহলে বাজার থেকে ছোট আকারের মাছ গুলো কিনে টবে ছেড়ে দিতে হবে তাহলে ছোট পোকামাকড় গুলো কখনোই গাছকে আক্রমণ করতে পারবে না। পদ্মফুলের ভালো ফলন পেতে হলে অবশ্যই রোদ দিতে হবে। তাই পদ্মফুল এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাস, রোদ পড়ে যেন।

আরও পড়ুন ঃ একজন  পদ্ম ফুল কান খাবে

পদ্ম শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

দুধ বাড়াতে সহায়ক – লোকজ চিকিৎসায় বলা হয় পদ্মদানা মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে।

স্নায়ু শান্ত করে – পদ্ম ফুল খেলে মানসিক প্রশান্তি আসে, স্ট্রেস ও টেনশন কমায়।

পেটের জন্য ভালো – হজমশক্তি উন্নত করে ও ডায়রিয়া বা অতিরিক্ত পেট ফাপা কমাতে সাহায্য করে।

ত্বক ও সৌন্দর্য – পদ্ম ফুলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক ভালো রাখে, ফর্সা ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ – পদ্মের গুণ রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

পদ্ম ফুল কোন ঋতুতে হয়

পদ্ম ফুল কোন ঋতুতে হয় জানতে চান ? আমাদের অনেকের জানা নেই। আমাদের পরিবেশের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের ফুল রয়েছে। প্রতিটি ফুল একই মৌসুমে ফোটে না সাধারণত ভিন্ন ভিন্ন মৌসুম অনুযায়ী এই ফুলগুলো ফুটে থাকে। ঠিক একই রকম ভাবে পদ্মফুল সব মৌসুমে পাওয়া যায় এমনটা নয়। একটি নির্দিষ্ট মৌসুম অথবা কটি নির্দিষ্ট ঋতু রয়েছে সাধারণত এই ঋতুতে পদ্ম ফুল সব থেকে বেশি পাওয়া যায়। গ্রীষ্মকাল থেকে বর্ষা ঋতুতে পদ্ম ফুল ফটে ।

আপনি যদি টবে পদ্ম ফুল চাষ করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন ১৫ থেকে ১৬ ইঞ্চির টব ব্যবহার করতে হবে। তবে আপনার বাড়িতে যদি প্লাস্টিকের কোন ধরনের ড্রাম থাকে তাহলে সেটি ব্যবহার করতে পারবে না। টব নির্বাচন করার সময় অবশ্যই একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যেন টবে অথবা ড্রাম এর মধ্যে কোন ধরনের ফটো না থাকে।

আমরা কত গাছ লাগাই কিন্তু সঠিকভাবে পরিচর্যা না করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে একই পানি টবে থেকে যায়। যদি আপনি ভালো ফলন পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই মাঝেমধ্যে পানি পরিবর্তন করতে হবে। আপনাকে গাছ এর প্রতি যত্নশীল হতে হবে । যদি কোন ধরনের রোগ আক্রমণ করে তাহলে পদ্ম গাছের পাতায় বাদামি রঙের দাগ দেখা যায় এ সময় অবশ্যই কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।

চারা তৈরি করার পূর্বে পদ্ম ফুলের বীজ গুলোকে কয়েকদিন পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। কিছুদিন পর দেখতে পাবেন যে বীজগুলো থেকে অঙ্কুরোদগম বের হয়েছে এরপরে আস্তে আস্তে দুই থেকে তিনটি করে পাতা বের হতে থাকবে। যখন দেখবেন যে পাতা বের হতে শুরু করেছে সাধারণত তখনই বীজগুলোকে বের করে একটি পাত্রে এটের মাটি ভরে পুঁতে দিতে হবে।

আমাদের শেষ কথা ঃ পদ্ম বীজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডে আছে । কিডনি জাতীয় সমস্যা সমাধানে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে পদ্ম ফুলের বীজ। কিডনির সমস্যার সমাধানে এবং এটি ভালো রাখতে হলে পদ্ম বীজ খাওয়া যেতে পারে। আর পদ্মফুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি - পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাবেন এই বিষয়ে জানতে হবে ।

যেহেতু এটি আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে সেই জন্য এটি আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। তাছাড়া হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।আমাদের দেহকে সুন্দর এবং ত্বক সুন্দর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে পদ্মফুলের বীজ। তাই আপনি যদি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান তাহলে পদ্ম ফুলের বীজ খেতে পারেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

যোগ্যতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url