খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা-কি জানুন

 অতিরিক্ত ওজন কমাতে আমরা কি করব

অতিরিক্ত  ওজন কমাতে আমরা অনেক নিয়ম মেনে চলতে পারি । একজন মানুষের অতিরিক্ত ওজন হওয়া ভালো না ।বেশি ওজন মানুষকে বিভিন্ন অসুখ এর দিকে নিয়ে যায় । একজন বাক্তি যদি সকালে খালি পেটে গরম পানির সাথে লেবু খাই তাহলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমবে ।আবার এর সাইড ইফেক্ট ও আছে । তাই খুব বেশি না খাওয়াই ভালো । ওজন কমাতে হাটাহাটি করতে হবে প্রয়োজনে সুইমিং করতে হবে । ব্যায়াম করা শরীরের জন্য খুবি ভালো । ব্যায়াম শরীরের কোষগুলোকে সজাগ রাখতে সাহায্য করে ।শরীরের ঘাম যরিয়ে মেড কমাই । কেউ যদি গ্রিন টি খায় তাতেও শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে ।আর গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। মূলত গ্রিন টি তে থাকা ক্যাটেচিন এবং ক্যাফেইন উপাদান দুইটি ওজন কমাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। এই উপাদান দুইটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে অতিরিক্ত ফ্যাট বার্নিং করে থাকে।

পেজ সুচিপত্র ঃ খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রতিদিন খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা অনেক ।  তবে খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে । চিরতা খাওয়া নিয়ে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। চিরতা প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে আসছে। খালি পেটে চিরতা খাওয়ার ফলে দেহের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থগুলো বের হয়ে যায় । এছাড়াও খালি পেটে চিরতা খাওয়ার রয়েছে নানান গুণাগুণ ও উপকারিতা। প্রতিদিন খালি পেটে চিরতা খাওয়ার ফলে  হজম শক্তি ও পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। নিয়মিত খালি পেটে চিরতা খাওয়ার ফলে পিত্তরস নিঃসরণে সহায়তা করে, ফলে খাদ্য সহজে হজম হয়। খালি পেটে চিরতা খেলে গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, পেট ফুলে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা দূর  করে খুব সহজে ।

যাদের ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস এবং জন্ডিস এর সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য চিরতা অনেক উপকারে আসতে পারে। কারণ নিয়মিত খালি পেটে চিরতা খাওয়ার ফলে এটি লিভারকে ডিটক্সিফাই করে এবং লিভারের কোষকে সজীব রাখে। এর ফলে ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস এবং জন্ডিস জনিত সমস্যার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও খালি পেটে নিয়মিত এক টানা চিরতা খাওয়ার ফলে  রক্ত বিশুদ্ধ করে ও ত্বকের সমস্যা গুলো দূর করতে সহায়তা করে থাকে। এটি রক্ত থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে থাকে। এর ফলে ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ি, চুলকানি বা এলার্জির সমস্যা অনেক অংশে কমে যায়। এছাড়াও খালি পেটে চিরতা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে,  জ্বর ও সর্দি কাশি কমাতে, কৃমিনাশক হিসেবে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ওজন কমাতেও সাহায্য করে থাকে।

চিরতা খাওয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম

এখন আমাদের চিরতা খাওয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম জানতে হবে। কারন আপনি যদি খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে না জানেন তাহলে আপনার বিশাল সমস্যা হতে পারে । কেননা আপনি যদি চিরতা খাওয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম না জেনে প্রতিদিন নিয়মিত চিরতা খেয়ে যান তাহলে এর ফলে আপনার শরীরের উপকারিতা না হয়ে ক্ষতির দিকে যেতে পারে। তাই আপনি যদি চিরতার সকল উপকারিতা পেতে চান তাহলে চিরতা খাওয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম সম্পর্কে জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। তাই এখন আমরা সংক্ষেপে জানার চেষ্টা করবো কখন চিরতা খেতে হবে এবং চিরতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

সকালে খালি পেটেঃ আপনি যদি চিরতার সকল উপকারিতা পেতে চান তাহলে সকালে খালি পেটে চিরতা খাওয়া হতে পারে আপনার জন্য সেরা সিদ্ধান্ত। কেননা এই সময় আমাদের পেট খালি থাকে এর ফলে চিরতার সকল উপাদানগুলো সরাসরি শরীরের ভেতরে কাজ করতে পারে।

সকালে খাওয়ার ৩০ মিনিট পরঃ অনেকে সকালে খালি পেটে চিরতা খেতে পারেন না কারন চিরতা অনেক  তিতা। অনেকের পেট ব্যথা, মাথা ঘুরানো, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের জন্য চিরতা খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকালে নাস্তা করার ৩০ মিনিট পর চিরতা খাওয়া। এর ফলে এই ধরনের সমস্যা হবে না এবং পেটের এসিডিটির সমস্যা দূর করার পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে খুব ভালো কাজ করে থাকে।

এতক্ষণ আমরা চিরতা খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে আলোচনা করেছি এখন আমরা জানবো চিরতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম। সাধারণত চিরতা দুইভাবে খাওয়া যায়। একটি হচ্ছে  চিরতার গুঁড়ো এবং অপরটি হচ্ছে চিরতার পানি। চিরতার পানি বানানোর নিয়ম হচ্ছে রাতে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ চিরতার গুঁড়ো ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং সকালে এই পানি ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে পান করতে হবে। আর চিরতার গুঁড়ো খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানিতে এক থেকে দুই চা চামচ চিরতার গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে হবে। আপনি এই ক্ষেত্রে স্বাদ বাড়ানোর জন্য মধু অথবা লেবু যোগ করতে পারেন। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য এই ভাবে এক থেকে দুই মাস নিয়মিত চিরতা সেবন করতে হবে। সাধারণত ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই ফলাফল লক্ষ্য করা যায়।

চিরতা খাবেন ও আসল চিরতা চেনার উপায়

চিরতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ যা প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। চিরতা হজমশক্তি বাড়ানো, লিভার পরিষ্কার রাখতে এবং দেহের বিষাক্ত পদার্থ দূর করার জন্য সব চেয়ে বেশি খেয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চিরতার মতই দেখতে কিছু উদ্ভিদ বিক্রি করে আসছে। যেগুলো খেলে শরীরের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। এখন আমরা চিরকার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও আসল চিরতা চেনার উপায় সম্পর্কে জানবো।

আরও পড়ুন ঃ


খালি পেটে চিরতা খাওয়ার অপকারিতা

খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে অনেক অপকারিতাও আছে। খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সকলকে আবগত হয়া ভালো । এখন আমরা জানব খালি পেটে চিরতা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্যান। চিরতা তিতা প্রকৃতির হওয়ার কারণে এটি খাওয়ার ফলে অনেকের বমি বমি ভাব জি ঘাটা হতে পারে। বিশেষ করে যাদের পাকস্থলী সংবেদনশীল তাদের জন্য এটি সেবনের ফলে পেট ব্যথা ও সাথে সাথে বমি হয়ে যাতে পারে। আবার যাদের পাকস্থলী দুর্বল বা আগে থেকেই আলসার ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা যদি খালি পেটে চিরতা সেবন করেন তাহলে তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আবার আপনি যদি বেশি উপকারের আশায় বেশি করে চিরতা খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি কমে যেতে পারে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিরতা খাওয়ার নিয়ম কি

ডায়াবেটিস খুব মারাক্তক অসুখ। যা মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাধতে সাহায্য করে । এই রোগ মানুষের শরীরকে ধিরে ধিরে ধ্বংস করে ফেলে । ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অনেক ক্ষতি হয় । আপনি  যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য  খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা না জানেন তাহলে ডায়াবেটিস কমার পরিবর্তে বেশি হওয়ার সম্ভবনা থাকে । চিরতা  একটি প্রাকিতিক খাদ্য যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিরতা অনেক জনপ্রিয় একটি ভেষজ। এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ইনসুলিন এর কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। তবে সঠিক নিয়মে চিরতা না খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসার পরিবর্তে ডায়াবেটিস এর মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যেতে পারে। তাই এখন আমরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিরতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। প্রথমে ২৫০ মি.লি. পরিমাণ পানিতে এক থেকে দুই চা চামচ চিরতা পাতা রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তবে এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে রাতে সর্বোনিম্ন ৮ থেকে ১০ ঘন্টা চিরতা পাতা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর সকালে খালি পেটে এটি পান করতে হবে।

লিভার পরিষ্কারে  চিরতার কার্যকারিতা

লিভার পরিষ্কারে  চিরতার কার্যকারিতা অনেক । চিরতা লিভারকে পরিষ্কার বা ডিটক্সিফিকেশনে একাধিক দিক থেকে সহায়তা করে থাকে। আবার খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে । আমাদের শরীরের লিভার হলো প্রাকৃতিক ফিল্টার যা প্রতিনিয়ত রক্ত পরিশোধন করে এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। তবে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, বেশি ওষুধ সেবন, অতিরিক্ত চিনি বা তেলযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারাতে পারে। ্তাই  প্রাকৃতিক উপায়ে লিভার পরিষ্কারের জন্য চিরতা হতে পারে একটি কার্যকর সমাধান। চিরতার মূল উপাদান হলো সুইয়ারিন ও আমারোগেন্টিন যা লিভারের এনজাইম কার্যক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। এটি লিভারে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ও বিষাক্ত টক্সিন পরিষ্কার করে বের সাহায্য করে থাকে। 

নিয়মিত চিরতা খেলে লিভারের ফাংশন উন্নত হয়, হজম শক্তি বাড়ে এবং শরীরে পিত্তরসের ভারসাম্য বজায় থাকে। এতে করে লিভার সুস্থ থাকে ও বিভিন্ন লিভার সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। চিরতা খেলে লিভারে ইনফ্ল্যামেশন কমে এবং ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ হ্রাস পায়। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ফলে ফ্রি র‍্যাডিকেলের মত সমস্যাগুল থেকে লিভার কোষগুলো রক্ষা পায়। এছাড়াও এটি হেপাটোপ্রোটেকটিভ প্রভাব রাখে বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। তবে লিভার পরিষ্কারে চিরতা ব্যবহার করতে হলে সঠিক নিয়ম মেনে খেতে হবে। সাধারণত ১ গ্লাস পানিতে ১ থেকে ২ চা চামচ চিরতা এক রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করা সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। 

আরও পড়ুন ঃ


ত্বকের নানান সমস্যা দূর করতে চিরতার উপকারিতা

ত্বকের সমস্যা দূর করতে চিরতার রয়েছে অনেক উপকারিতা বা গুনাগুন । আমাদের অনেকের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করার জন্য অনেকে বাজার থেকে অনেক দামি দামি ফেসওয়াশ ও ক্রিম ব্যবহার করছে। যেগুলো ব্যবহারের ফলে হয়ত সাময়িক ফল পাওয়া গেলেও যখন এই পণ্য গুলো ব্যবহার করা ছেড়ে দেয় তখন আবার একই সমস্যা দেখা দেয় অথবা আগের তুলনায় আরো বেশি সমস্যা দেখা দেয়। মূলত ত্বকের সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য ত্বকের বাহিরের অংশ পরিচর্যা করার আগে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার করা উচিত। ত্বক ভেতর থেকে সুস্থ হলে তবেই এই সমস্যা গুলো থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। আর ত্বক ভেতর থেকে সুস্থ করতে চিরতার ভূমিকা অনেক। এখন আমরা ত্বকের সমস্যা দূর করতে চিরতার উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।

চিরতা প্রাকৃতিকভাবে রক্ত পরিশোধন করতে সাহায্য করে যা ব্রণ, ফুসকুড়ি, চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ দূর করতে কার্যকর।

চিরতার অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণাগুণ ত্বকে ফুসকুড়ি ও এলার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।

চিরতা খাওয়ার ফলে লিভার পরিষ্কার থাকে এবং শরীরের অতিরিক্ত তাপ দূর হয় যার ফলে ব্রণের প্রবণতা কমে যায়।

চিরতাতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা ত্বকে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

নিয়মিত চিরতা খেলে ভেতর থেকে দেহ পরিষ্কার হয় যা ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে।

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে চিরতা খাওয়ার নিয়ম জানুন


কাদের চিরতা খাওয়া একদম ঠিক না

আমরা চিরতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। এখন জানব কাদের চিরতা খাওয়া একদম ঠিক না । চিরতা একটি ভেষজ হলেও এটি সকলের খাওয়া ঠিক না। এখন আমরা কিছু বৈশিষ্ট সম্পর্কে জানবো যেগুলোর কোন একটি যদি কারো মধ্যে থেকে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির চিরতা খাওয়া একদম উচিত নয়। নিচে যে বৈশিষ্ট গুলো দেওয়া হবে সেগুলো ছাড়াও বিশেষ কিছু ব্যক্তি এবং রোগাবস্থায় চিরতা খাওয়া উচিত হবে না। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়ের চিরতা খাওয়া উচিত নয়। ৮ বছরের নিচের শিশুদের চিরতা না খাওয়াই ভালো।যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তাদের চিরতা খাওয়া উচিত নয়।গ্যাস্ট্রিক ও আলসার রোগে ভোগা ব্যক্তির চিরতা খাওয়া উচিত নয়।যারা ইনসুলিন বা নিয়মিত বিভিন্ন ওষুধ খাচ্ছেন তাদের চিরতা খাওয়া উচিত না। লিভার বা কিডনির সমস্যা যাদের আছে তাদের চিরতা খাওয়া উচিত নয়।যারা অ্যালার্জি সমস্যায় ভগছেন তাদের জন্য চিরতা না । খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক আছে তবে তা বুজে খাওয়া ভালো ।

আরও পড়ুন ঃ


পরিশেষেঃ খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি

খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা উপরে এতক্ষণ বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা শুধু উপরে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করিনি বরং চিরতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও সময় থেকে শুরু করে কাদের চিরতা খাওয়া উচিত নয় এবং চিরতা খাওয়ার কিছু অপকারিতা সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। এছাড়াও অনেকে চিরতা কি এবং আসল চিরতা কেমন দেখতে এই সম্পর্কে জানে না। ঠিক এই কারণে চিরতা কি এবং কিভাবে বুঝবেন এটি আসল চিরতা কিনা এই বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেছি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিরতা খাওয়ার নিয়ম থেকে শুরু করে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে চিরতা খাওয়ার নিয়ম নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। তাই আশা করা যায় যে আপনি যদি উপরের লিখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা থেকে শুরু করে চিরতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

যোগ্যতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url