সরকারি চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসা করুন

আপনি কি একজন চাকুরিজিবি । আপনি কি, সরকারি চাকুরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এই বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে  এই পোস্টটি আপনার জন্য। অনেকেই ভাবেন, সরকারি চাকরি মানেই জীবনের সব নিশ্চয়তা। কিন্তু, বর্তমান সময়ে শুধু চাকরির উপর নির্ভর করে চলা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। একজন ফ্রীলেন্সার এর কাছে সরকারি চাকরি ওয়ালা পারবে না । একজন ফ্রীলেন্সার এর আনলিমিটেট ইনকাম ।আপনি মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা আয় করু্নিবা এর চাইতে বেশি ইনকাম করতে পারেন। আপনি চাইলে সরকারি চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসা করুন তাহলে আপনার বাড়তি ইনকাম হওয়ার সম্ভবনা থাকে ।

একজন সরকারি  চাকুরিজিবির সংসার চালানো, ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় এবং সন্তানদের জন্য পড়াশোনার খরচ- সবকিছু সামলাতে বাড়তি ইনকামের দরকার। এখন অনেক চাকরিজীবী, চাকরির পাশাপাশি বিকল্প আয়ের চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন। যে কি করবে বুঝে উঠতে পারে না । এই পোস্টটি তাদের জন্য যারা সরকারি চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এই বিষয়ে জানতে চান ।

পেজ সূচিপত্রঃ সরকারি চাকুরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায়


সরকারি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করুন

অনেকেই চাই সরকারি চাকুরির পাশাপাশি কিছু করতে ।কোন ব্যবসা করা যায কিনা এই বিষয়ে ভেবে থাকেন । কিন্তু আমাদের দেশের অনেক মানুষই সরকারি চাকুরি করতে চান। কারণ, এতে ভবিষ্যতের একটা নিশ্চয়তা থাকে। নিয়মিত বেতন, পেনশন এবং সামাজিক মর্যাদা- এই সমস্ত কারণে, সরকারি চাকরির চাহিদা অনেক বেশি। তবে, বাস্তব জীবনের খরচ এবং সংসারের দায়িত্ব একসাথে সামলাতে গিয়ে, শুধু চাকরির মাসিক বেতন দিয়ে ম্যানেজ করা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যাদের পরিবারে একমাত্র আয় ও রোজগারের দায়িত্ব তাদের কাঁধে থাকে, তাদের জন্য এটা আরো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

এই কারণে, এখন অনেকেই সরকারি চাকরির পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করার কথা চিন্তা-ভাবনা করে থাকে। অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন থেকে যায়- সরকারি চাকুরির নিয়ম মেনে কি আদৌ ব্যবসা করা সম্ভব? আসলে বিষয়টা পুরোপুরি নির্ভর করবে- আপনি কি ধরনের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন এবং সেটার অপর। যেমন- যদি আপনি এমন কোনো ব্যবসা করেন, যেখানে আপনাকে সারাদিন সময় দিতে হবে বা আপনি অফিস টাইমে সেই সময় ব্যস্ত থাকবেন, তাহলে তা সমস্যার কারণ হতে পারে। সেটা আপনার জন্য চাকুরির ক্ষতি করতে পারে আর চাকুরি বজায় রেখে বাবসা করতে হবে এটা মাথায় রাখতে হবে ।

কিন্তু, যদি আপনি এমন ব্যবসা করেন, যেটি অফিস ছুটির দিন অথবা অবসর সময়ে চালানো যেতে পারে , তাহলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অনেকেই নিজের বাসায় খুচরা পণ্যের দোকান দিয়ে থাকেন, কেউ আবার টিফিন সার্ভিস দিয়ে থাকেন, কেউ ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও করার মাধ্যমে ইনকামের পথ বেছে নেন, আবার কেউ অনলাইনে ছোটখাটো পণ্য বিক্রি করে বাড়তি ইনকাম করে থাকেন। এই কাজগুলো বেশিরভাগই সময় সাপেক্ষ নয়। তাই চাকরির ক্ষতি না করে, চাকরি করার পাশাপাশি এই সমস্ত কাজগুলো করা যায়। তাই সরকারি চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসা করুন

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কম পুঁজিতে ব্যবসা করার বিভিন্ন উপায়

মানুষেরা মনে করেন যে, সরকারি চাকরি থাকা মানে, একটা নিশ্চিন্ত জীবন । কিন্তু সরকারি  চাকরিতে নিয়মিত বেতন থাকলেও জীবনের নানা খরচ, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা আর একটু ভালোভাবে সমাজে বাঁচার ইচ্ছা অনেক সময় বেতনের খরচ ছাড়িয়ে যায়। তাই বর্তমানে অনেক চাকরিজীবী, চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন। যদি একটু অতিরিক্ত আয়ের ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে জীবনটা আরো সহজ সাজছন্দময় হয়ে উঠত ।  তবে, বড় ব্যবসা শুরু করা যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি প্রয়োজন হয় বড় পুঁজি এবং সময়।কিন্তু যদি কম পুঁজিতে নিরাপদ ব্যবসা শুরু করা যায়, তাহলে সেটা হতে পারে আপনার জন্য ভালো একটি কর্ম সন্থান ।চাকরিজীবীদের জন্য এমন আইডিয়া বেছে নেওয়া ভালো, যে আইডিয়া খাটিয়ে ব্যবসাতে বেশি সময় লাগবে না এবং ঝুঁকিও কম। এর জন্য প্রথমেই রয়েছে- অনলাইন ভিত্তিক ছোট ব্যবসা। যেমন- হ্যান্ডমেড পণ্য, বই, বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট গল্প,কুশি কাটার ডিজাইন,  হিজাব, কসমেটিক্স ইত্যাদি। এতে করে আপনি চাইলে, অফিস শেষে সময় দিয়ে খুব সহজেই ব্যবসা চালাতে পারবেন এবং খরচও অনেক কম। এরপর রয়েছে- টিফিন সার্ভিস বা হোমমেড খাবার ,হোমমেড কেক  বিক্রি করতে। 

সরকারি চাকরির পাশাপাশি ছোট ব্যবসার আইডিয়া

অনেকেই মনে করেন যে , সরকারি চাকরি থাকলে আর কোনো কিছু করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ের খরচ, সঞ্চয়ের চিন্তা বাচ্চাদের পড়াশুনার খরচ এবং পরিবারের বাড়তি চাপ মিটাতে অনেক চাকরিজীবীই হিমশিম খেয়ে যাছে, তাই এখন ছোটখাটো ব্যবসার দিকে ঝুকছেন। তবে চাকরির পাশাপাশি বড় ব্যবসা চালানো সম্ভব না হলেও, ছোট পরিসরে কিছু শুরু করলে তা থেকে ভালো আয় করা সম্ভব একসময়। এর জন্য আপনাকে প্রথমে - ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করা যায় কি ভাবে। তা জানতে হবে - আপনি চাইলে- হিজাব, কসমেটিক্স,  হোমমেড খাবার ,হোমমেড কেক বই অথবা বাচ্চাদের খেলনা অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। 

এছাড়াও যারা লেখালেখি বা ডিজাইন পারেন, তারা ডিজিটাল সার্ভিস দিতে পারবেন। যেমন- কনটেন্ট লেখা, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা ভিডিও এডিটিং- এই সমস্ত কাজগুলো করতে পারেন। এরপরে রয়েছে- টিফিন সার্ভিস। এটি একটি চমৎকার ছোট ব্যবসা আইডিয়া। এখানে আপনি চাইলে, পরিবারকেও সংযুক্ত করতে পারেন। আবার অনেকেই বাসার একটি রুমে কোচিং বা টিউশন সেন্টার চালিয়ে থাকেন। সবশেষে বলা যায়, এগুলো ব্যবসা করতে হলে খুব বেশি সময় প্রয়োজন হয় না এবং অল্প পুঁজি দিয়েই শুরু করা যেতে পারে । 


 বর্তমানে ফেসবুক আর ইউটিউব শুধু সময় কাটানোর জায়গা নয় বরং এগুলো দিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করার দারুণ সুযোগ রয়েছে। আপনিও চাইলে ফেসবুক ইউটিউব দিয়ে টাকা আয় করতে পারেন। আপনি  আর কত দিন অননের ভিডিও দেখে সময় কাটাবেন । অনেকেই এখন মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরি করে নিয়মিত ফেসবুক এবং ইউটিউবে পোস্ট করে ভালো মানে টাকা ্ইনকাম করছে, তাও আবার ঘরে বসে। ফেসবুক থেকে আয় করতে হলে প্রথমে একটা ফেসবুক পেজ খুলে নিতে হবে। সেখানে নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড করতে হবে ।তখন ফেসবুক আপনাকে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ দিবে এবং সেখান থেকে আপনার ইনকাম শুরু হবে । আবার ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য একটি চ্যানেল খুলে নিতে হবে। ইউটিউবেও মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করে নিয়মিত পোস্ট করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেলে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪,০০০ ঘন্টা দর্শক বিয়পূরণ হলে, আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ পাবেন এবং সেখান থেকে আপনার ইনকাম হবে। দুই জায়গাতেই মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এবং দর্শকদের ভালো কিছু দিতে হবে। ধৈর্য ধরে কাজ শুরু করলে, ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে আপনিও সফল হতে পারবেন।

চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে কি

বর্তমানে সমাজে আমরা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকি যে , চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে কিনা আর কি ভাবে করবো। এর উত্তর হচ্ছে- হ্যাঁ করা যাবে। তবে, কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এমন এক ধরনের কাজ, যেটা আপনি নিজের সুবিধা মতো করতে পারবেন।বিশেষ করে- গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট লেখা, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মতো কাজগুলো । এই কাজগুলো ঘরে বসেই নিজের সময় মতো করা যায়। যেহেতু এসব কাজ নির্দিষ্ট কোনো অফিস টাইমে বাধা প্রাপ্ত হয় না। তাই আমাদের জন্য অনেক সুবিধা ।

তাই চাকরির পাশাপাশি সন্ধ্যায় অথবা ছুটির দিনে, এই সমস্ত কাজগুলো করে বাড়তি ইনকাম করা সম্ভব। তবে, আপনি যদি সরকারি চাকরিতে থাকেন, তাহলে আপনার অফিসের নিয়ম-কানুন একটু দেখে নেওয়া উচিত। অনেক সময় নিয়োগ বিধিতে অতিরিক্ত ইনকাম সংক্রান্ত কিছু নিয়ম থাকে, যা মেনে চলা উচিত। কারন আপনার সরকারি চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসা করুন এইটা মাথাই রাখতে হবে সবশেষে বলা যায়, ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ আপনি নিজের নামে না করে পরিবারের অন্য কারো নামেও করতে পারবেন। তাহলে, এতে করে ভবিষ্যতে কোনো ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। তাই সরকারি চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসা করুন।

 লেবু একটি অত্যন্ত উপকারী ফল । যা আমরা সারা বছরই প্রায় পেয়ে থাকি। এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের ঘা শুকাতে সাহায্য করে । এবং এর মূল্য সাধারণত অনেক কম। লেবুই থাকা ভিটামিন সি,আইরন ক্যালসিয়াম খনিজ উপাদান যা আমাদের শরীরকে ভালো রাখে।এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।একটু অত্যন্ত উপকারী ফল আমাদের শরীরের লেবুর রস হজম শক্তি বাড়াতে বদজন বৃদ্ধিতে গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের প্রতিদিন খাবারের সাথে লেবু  খাওয়া উচিত ।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাওয়া ভালো। 

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্যাসিভ ইনকামের উপায়

সরকারি চাকরি অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো হলেও, শুধুমাত্র বেতনের উপর নির্ভর চলাটা বর্তমান সময়ে অনেক কঠিন।তাই, অনেক চাকরিজীবীই প্যাসিভ ইনকাম করার চেষ্টা করে থাকেন। প্যাসিভ ইনকাম মানে হচ্ছে- এমন ইনকাম, যা একবার কাজ করলেই পরবর্তীতে নিয়মিত ইনকাম আসতে থাকবে এবং প্রতিদিন সময় না দিয়েও ইনকাম করতে পারবেন। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ইনকামের উপায় হচ্ছে- প্রথমত, ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও বানান। আপনি যদি কোনো বিষয়ে ভালো জেনে থাকেন বা আগ্রহী। তাহলে সেই বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে এবং ইউটিউব চ্যানেলে ছাড়তে হবে প্রতিদিন।

একবার ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু হলে, সেখান থেকে পরবর্তীতে নিয়মিত ইনকাম আসতে থাকবে। এরপরে রয়েছে- ব্লগ বা ওয়েবসাইট। নিজের পছন্দের বিষয়ের উপর লেখালেখি করে ব্লগ তৈরি করলে, গুগল এডসেন্স বা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। এরপরে- অনলাইনে কোর্স করানো। এছাড়াও আপনি চাইলে, ছবি বা ডিজাইন বিক্রি করতে পারেন। ফটোগ্রাফি বা ডিজাইন শিখে সেগুলো বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করে আপনি চাইলে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। তাই বলা যায়, ইনকাম শুরু করতে হলে, ধৈর্য এবং নিয়মিত চর্চা করতে হবে। তাহলে, ধীরে ধীরে একদিন সফলতা আসবে। 

অফিস টাইমের বাইরে চালানো যাবে এমন ব্যবসা শুরু করুন

অনেক চাকরিজীবীই অফিসে শেষে ফাঁকা সময়টাকে ভালোকোন কাজে লাগাতে চান। তবে, এমন কোনো ব্যবসা করা উচিত, যা অফিসের টাইমের বাইরে চালানো যাবে এবং অবসর সময়ে চালানো যাবে। এর জন্য একটি সহজ এবং জনপ্রিয় ব্যবসা হচ্ছে- ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করা। ফেসবুক পেজ বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে-কসমেটিক্স, পোশাক, বাচ্চাদের খেলনা অথবা হস্তশিল্পের পণ্য বিক্রি করা যায়। অর্ডার নেওয়া এবং ডেলিভারি ব্যবস্থাপনা করে রাখলে, যেকোনো সময়েই করা সম্ভব। 

এরপরে আরেকটি জনপ্রিয় ব্যবসা হচ্ছে- টিফিন বা হোম কুকিং সার্ভিস। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা উদ্যোগ। বাসা থেকে খাবার তৈরি করে, যেকোনো অফিসের কর্মীদের সার্ভিস দিয়ে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আরেকটি দারুণ আইডিয়া হচ্ছে- ফ্রিল্যান্সিং বা ডিজিটাল সার্ভিস দেওয়া। যেমন- গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, কন্টেন্ট লেখা ইত্যাদি।এছাড়াও আপনি চাইলে, ইউটিউব চ্যানেলে, ব্লগিং কিংবা ঘরেই ছোট পরিসরে কোচিং সেন্টার চালাতে পারেন। সবশেষে বলা যায়, এই ধরনের ব্যবসাগুলো কম পুজিতে শুরু করা যায় এবং অফিসের টাইমে বাধা তৈরি হয় না। 
চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে আয় করার মাধ্যমগুলো

সরকারি চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসা করা কি আইনগতভাবে বৈধ

সরকারি চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসা করা আইনগতভাবে সম্পূর্ণভাবে বৈধ নয়। তবে, কিছু শর্ত এবং ব্যতিক্রম উপায় রয়েছে।বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯ অনুযায়ী, কোনো সরকারি চাকরিজীবী ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা করতে পারবে না, যদি না তিনি সরকার থেক পূর্বে অনুমতি নিয়ে থাকে। এই নিষেধের মূল কারণ হচ্ছে- চাকুরির দায়িত্বে যেন কোনোভাবেই স্বার্থের সংঘর্ষ  তৈরি না হয়। যেমন মনে করেন, আপনি সরকারি কোনো দপ্তরে কাজ করছেন এবং পাশাপাশি ব্যবসা করছেন।যেটা সরকারি সুযোগ-সুবিধা বা তথ্যের ব্যবহার করে বাড়তি লাভ তুলতে পারে, এটা আইনের বিরুদ্ধে।তবে কিছু ব্যতিক্রম উপায় রয়েছে তা হচ্ছে- আপনি যদি ব্যবসাটি আপনার নিজের নামে না করে, পরিবারে অন্য  কোন সদস্যের নামে করেন এবং আপনি শুধু সহযোগিতা করেন, তাহলে সেই ব্যবসা চালানোর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আরেকটি হচ্ছে- ইনভেসমেন্ট ভিত্তিক ইনকাম। যেমন- এফডিআর, শেয়ার বাজার, ফ্ল্যাট ভাড়া ইত্যাদি। সাধারণত এই কাজগুলো প্যাসিভ ইনকামের আওতায় পড়ে, তাই অনুমতি সাপেক্ষে বৈধ হতে পারে। সবশেষে বলা যায়, আপনি যদি সত্যি ব্যবসা করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার দপ্তরের অনুমতি নেওয়া উচিত অথবা আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ। 

আরও পড়ুন ঃ

সরকারি চাকুরির নিরাপত্তা বজায় রেখে ব্যবসা করার কৌশল

সরকারি চাকরি মানেই স্থায়িত্ব আর নিরাপত্তা। তবে, শুধুমাত্র বেতনের উপর নির্ভর করে চলা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে আমাদের জন্য। তাই, অনেকেই ব্যবসা করতে চান, কিন্তু মনের মধ্যে চাকুরির নিরাপত্তা হারানোর ভয় থাকে। এই দ্বিধা থেকে মুক্তি পেতে কিছু সহজ কৌশল রয়েছে। প্রথমত, নিজের নামে সরাসরি ব্যবসা না করে, পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নামে ব্যবসা শুরু করা। এতে আইনি বাধা এড়ানো যাবে এবং চাকুরির ক্ষতিও হবে না। আপনি শুধু পরামর্শদাতা এবং সহায়ক হিসেবে পাশে থাকবেন। দ্বিতীয়ত, অনলাইন ভিত্তিক প্যাসিভ ইনকামের পথ খুজে বের করা । যেমন- ব্লগিং করা, ইউটিউব ভিডিও তৈরি করা ফেসবুক মার্কেটিং , এফিলিয়েট মার্কেটিং করা ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে আপনি নিজেই সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, যা চাকুরির সময়ের সাথে সংঘর্ষিক হবে না।তৃতীয়ত, আপনাকে প্রথমত কম ঝুঁকি এবং স্বল্প পুঁজির ব্যবসা বেছে নিতে হবে। যাতে করে শুরুতে বড় চাপ না পড়ে এবং সহজে বন্ধ না হয়ে যায়। সবশেষে বলা যায়, চাকুরির  বিধিমালা ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। নিয়মের ভেতরে থেকেই ব্যবসা শুরু করলে, একদিকে অতিরিক্ত আয় হবে এবং সরকারের চাকুরির নিরাপত্তা ঠিক থাকবে। 

লেখকের শেষ কথা সরকারি চাকুরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায়

আপনি চাইলে সরকারি চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসা করুন বা করতে পারেন । এই পোস্টে সরকারি চাকুরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এই বিষয়ে মোটামুটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সরকারি চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসা করা সম্ভব হলেও, অবশ্যই নিয়ম-কানুন মেনে ব্যবসা করতে হবে। সরাসরি নিজের নামে ব্যবসা না করে, পরিবারের সদস্যের নামে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসায় যুক্ত হওয়া তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। এক্ষেত্রে নিজের সময় ও দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে কাজ করা যাবে এবং চাকরিতেও কোনো ভাবে প্রভাব পড়বে না। আর আপনাকে আগে সরকারি চাকুরি বজাই রাখতে হবে। আর অনলাইনে বিশেষ করে- অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা, প্যাসিভ ইনকাম এবং আংশিক সময়ের কাজ- যেগুলো চাকুরির বাইরে আয় করার জন্য দারুণ সুযোগ। 

যেমন- ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও তৈরি করা ফেসবুক মার্কেটিং , ব্লগিং করা, এফিলিয়েট মার্কেটিং, হোম কিচেন অথবা কোচিং সেন্টার ইত্যাদি।তবে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজের চাকুরির বিধিমালা ভালোভাবে জেনে নিতে হবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরামর্শ নিতে হবে এবং সতর্কভাবে এগিয়ে চলতে হবে। সবশেষে বলা যায়, স্থায়ী ও নিরাপদ চাকরিকে ঝুঁকিতে না পেলে যদি বুদ্ধিমানের মত ব্যবসা করা যায়, তাহলে সেটাই হবে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের সঠিক পথ। এবং বেশি আয় এর উৎস তাই বুঝে শুনে ভালোভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাহলেই সফলতা আসবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

যোগ্যতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url